পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে। উপজেলা পত্তাশী ইউনিয়নের রেখাখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্কুলছাত্রীর ভাই জানান, গত সোমবার আমার বোন ও প্রতিবেশি ভাগ্নিকে বাসায় রেখে আমার মা বাজার করতে যায়।
প্রতিবেশি ভাগ্নি নিজের কাজের জন্য বাসা থেকে বাইরে নামার পরে সেই সুযোগে গ্রাম পুলিশ সজল মিস্ত্রী লুকিয়ে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে তাকে ধর্ষণ করে। পরে প্রতিবেশি ভাগ্নি তার কাজ সেরে আমার বাসায় এসে দরজাটি বন্ধ দেখতে পেয়ে আমার বোনকে বার বার ডাকতে থাকে।
কিছুক্ষণ পরে গ্রাম পুলিশ সজল মিস্ত্রী দরজা খুলে বের হয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুরো বিষয়টি বোন আমাকে রাতেই মুঠোফোনে জানালে আমি বাড়িতে এসে ইন্দুরকানী থানায় রাতেই জানাই। আমি গ্রাম পুলিশ সজল মিস্ত্রীকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি করছি। রেখাখালী গ্রামের রবিন্দ্র নাথ মিস্ত্রীর ছেলে সজল মিস্ত্রী ২নং পত্তাশী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশের মুঠোফোনে বার বার ফোন দিলে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. মারুফ হোসেন জানান, রেখাখালীর গ্রামে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। স্কুলছাত্রীকে মেডিকেল টেস্টের জন্য পিরোজপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং গ্রাম পুলিশকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
টিএইচ